মানিক মিয়া গাজীপুর:
পেশায় এক জন গাড়ীর চালক অথচ নেশা চুরি করা। গাড়ী চালানোর পাশাপাশি গার্মেন্টসের মালামাল পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে অর্ধেক মালামাল সরিয়ে বাসা-বাড়িতে রেখে বিক্রি করতেন একটি সংঘবদ্ধচক্র। এতে যেমন ক্ষতি হতো গার্মেন্টস মালিকদের, ঠিক তেমনি বিদেশী ক্রেতাদের কাছে ভাবমূর্তি নষ্ট হতো বাংলাদেশের। এমনটাই জানিয়েছেন, গাজীপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সানজিদা আফরিন।
বুধবার(১৮ মে) দুপুরে জয়দেবপুর থানায় এক প্রেস ব্রিফিং এ এসব কথা জানান তিনি।
তিনি আরো জানান, রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের পর বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর তথ্য সহ ডিএমপি মোহাম্মদপুর থানার চন্দ্রিমা এভিনিউ হতে চোরাইকৃত তিন হাজার ১০০ পিস তৈরী পোষাক প্যান্ট উদ্ধার করেন এবং ঘটনায় ব্যবহৃত কাভার্ড ভ্যান উদ্ধার করে জব্দ করা হয়।
গত ১৬ মার্চ ভোর ৫টার দিকে গাজীপুর সদর উপজেলার শিরিরচালা বাঘেরবাজার এস.পি গার্মেন্টস্ এন্ড ওয়াশিং লিঃ কারখানা হতে ছয়শত ৪১ পিস কার্টুন, অর্থাৎ ১১,৬৪০ পিস তৈরী পোশাক প্যান্ট রপ্তানীর লক্ষ্যে গার্মেন্টস থেকে কাভার্ডভ্যান যোগে রওনা হয়। যাহার বাজার মূল্য ৬০ লক্ষ ৪৮ হাজার টাকা, গাড়ীর চালক সহ তাদের সহযোগী অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জন চোরের যোগসাজসে ও সহায়তায় চুরি করে নিয়া যায়।
এস,পি গার্মেন্টস ওয়াশিং লিমিটেডের ম্যানেজার গত ২০ শে এপ্রিল ১১ জনের নামে জয়দেবপুর থানায় মামলা (মামলা নং ১১) ধায়ের করেন। পরে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত দশ আসামীকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়। এক আসামি জামিনে রয়েছেন।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হলেন, জাবেদ (২০), শাহীন (২৪), মিনু @ মিনহাজ (৩৬), মোমেন মিয়া (৪১), আল মামুন (৩০), খায়রুল কবির মুন্না (২৪), সাইফুল ইসলাম @ রায়হান (৩২), মোতালিব হোসেন @ বাবু (৪৮), ফারুক হোসেন (২৮), বিল্লাল হোসেন। পরবর্তীতে ৪ আসামিকে পুলিশ রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ কররে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয় বলে জানান।