পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ-
চট্টগ্রামের সাবেক সদর মহকুমা পটিয়া পৌরসদরে ব্যাবসার প্রান কেন্দ্র শহীদ সবুর রোড়ে প্রাচীন ভবন সবুর মার্কেট ও বসত ভবন অনুমোদনহীন ঝুঁকিপুর্ণ বসবাস ও অর্ধশতাধিক দোকানে ব্যাবসা পরিচালনা করছে ব্যাবসায়ীরা। মৃত মোঃ আবদুর সবুর ১৯৬০ সালে বসতঘর ও আয়ের উৎসর জন্য দোকান নির্মাণ করে মার্কেট করেন
। ১৯৯০ সালে পটিয়া পৌরসভা প্রতিষ্টিত হলেও ভবন মালিক পটিয়া পৌরসভা থেকে প্রয়োজনীয় অনুমোদন নেয়নি বলে পটিয়া পৌরসভার কয়েকজন কাউন্সিলর জানান।
সুএে জানায়ায়, বর্তমান দ্বীতল ভবন আবদুর সবুরের ৬ ছেলে, ৪ মেয়ে এবং স্ত্রী তাদের পরিবারের পরিজন নিয়ে বসবাস করছে। মার্কেট প্রায় অর্ধশতাধিক দোকানে দু’শজন দোকান মালিক- কর্মচারী তাদের বিভিন্ন রকমারি দোকান পরিচালনা করে ঝুকিপুর্ণ ব্যাবসা করছেন । নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক একাধিক দোকান কর্মচারীর সাথে কথা বলে তারা জানান, ছবুর মার্কেট ও আবদুর সবুর ভবন পরিত্যক্ত ঘোষণা করার জন্য পটিয়া পৌরসভার মেয়র মোঃ আইয়ুব বাবুলের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন এলাকাবাসী। বর্তমান এভবন ৭২ বছর অতিবাহিত করছে। পটিয়া বা অন্য যেখানেই হোক যে মালিকেরা নকশাবহির্ভূতভাবে ভবন নির্মাণ করছেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি । ভবিষ্যতে যাতে কেউ এ রকম ভবন নির্মাণ না করতে পারেন, সে জন্য বাড়াতে হবে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের নজরদারিও।পটিয়া পৌরসভা ও উপজেলায় শত শত ঝুঁকিপূর্ণ ভবন অপসারণে কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেই সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ । ঝুঁকির মধ্যেই চলছে বসবাস ও ব্যবসায়িক কার্যক্রম। কার্যকর হয়নি গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি, টেলিফোন সংযোগ বিচ্ছিন্নের সরকারি সিদ্ধান্ত। বাতিল হয়নি হোল্ডিং নম্বর, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স আইন।অগ্নিনির্বাপণের ব্যাবস্তা ও অগ্নিকাণ্ড ও ভবন ধসের ঝুঁকি রয়েই গেছে শত শত ভবনে ।পাশাপাশি ঝুঁকিপূর্ণ এ ভবনগুলোর বর্তমান পরিস্থিতির একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন তৈরি করে পটিয়া পৌরসভার মেয়র মোঃ আইয়ুব বাবুল প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন সচেতন মহল। এ ছাড়া বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি ও টেলিফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন এবং বাড়ির হোল্ডিং নম্বর বাতিলসহ সরকারি ইমারত নির্মাণ মোট ১২টি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করার আহবান জানান পটিয়াবাসী। বর্তমানে আবদুর সবুর ভবনে ছাদে পানি পড়ে, লোহার মধ্যে ঝংকার, পেলেষ্টার খসে পড়ছে ভুমিকম্প হলে এ ভবন যেকোন মুহূর্তে ধসে পড়ে প্রাণহানির আশংকা রয়েছে
। এ ব্যাপারে সবুরের ছেলে মোঃ মুছার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যায় পরে ফোন করলে মোবাইল বন্ধ করে দেয়। এ বিষয়ে পটিয়া পৌরসভার মেয়র আইয়ুব বাবুল জানান, আগামীকাল সোমবার পটিয়া পৌরসভার ইন্জিনিয়ার পাঠিয়ে বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান।