রিপোর্টার শম্পা দাস ও সমরেশ রায় কলকাতা:
আজ ৬ ই অক্টোবর, এ আই ইউ টি ইউ সি অনুমোদিত,,, পশ্চিমবঙ্গ আশা কর্মী ইউনিয়ন এবং পশ্চিমবঙ্গ পৌর স্বাস্থ্যকর্মী কন্ট্রাকচুয়াল ইউনিয়নের যৌথ উদ্যোগে সুবোধ মল্লিক স্কয়ার থেকে এক বিশাল মিছিল ধর্মতলা ডরিনা ক্রসিং আসেন, প্রায় 15 থেকে কুড়ি হাজার আশা কর্মী ও পৌর স্বাস্থ্য মহিলা কর্মীরা ,বিভিন্ন জেলা থেকে আসা এই মিছিলে যোগ দেন বিভিন্ন দাবী নিয়ে, এবং নবান্ন অভিযানের উদ্দেশ্যে মিছিল হলেও, তারা ধর্মতলা ডরিনা কোচিং এ সমস্ত রাস্তা অবরোধ করে বসে পড়েন, তাদের সকলের একটাই দাবি আমাদের সমস্ত দাবি পূরণ করতে হবে।, প্রশাসনিক তরফ থেকে বুঝালেও তারা কোন কথার উত্তর দিলেন না সবার একটাই কথা আমরা এখান ছেড়ে যাব না, যতক্ষণ না নবান্ন থেকে আমাদের উদ্দেশ্যে কোন বার্তা না আসে, প্রায় এক থেকে দেড় ঘন্টা পথ রুদ্ধ করে দেন এবং সমস্ত রাস্তা যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
মিছিলে নেতৃত্ব দেন, কেকা পাল পৌর ইউনিয়ন,, ইস্পাতারা খাতুন আশাকর্মী, কৃষ্ণা প্রধান প্রেসিডেন্ট এবং এ আই ইউ টি ইউ সির অশোক দাস মহাশয়,
আশা কর্মীরা জানালেন আমরা বহুবার আন্দোলন করেছি এবং রাজ্য সরকারকে বারবার জানিয়েছি তা সত্ত্বেও আমাদের দিকে কোনরকম সহযোগিতার হাত বাড়াননি, তাই আজ আমরা বুঝিয়ে দিলাম, দাবি আদায় কি করে করতে হয়, আর তা না হলে ভোটে বুঝিয়ে দেব।আমাদের দাবী দেশের আইন অনুযায় ন্যূনতম মজুরী 26 হাজার টাকা দিতে হবে,,,,,,,,
আশা কর্মীদের রাজ্য সরকারের দেওয়া ভাতা অবিলম্বে বৃদ্ধি
করতে হবে ,,,,,,,,,,,
ঝুঁকিপূর্ণ কাজ আশা কর্মীদের দিয়ে করানো চলবে না,
আশা কর্মীদের মোবাইলের জন্য পনের হাজার টাকা করে দিতে হবে।
সমস্ত অতিরিক্ত কাজের অতিরিক্ত পারিশ্রমিক বরাদ্ধ করতে হবে।
পি এ পেনশন ও বোনাস চালু করতে হবে,
আশা কর্মীদের দিয়ে ন্যাপকিন বিক্রি করা চলবে না,
আশা কর্মীদের অবসরের পর মাসিক পেনশান পাঁচ হাজার টাকা ও অবসরকালীন ভাতা ৫০০০ টাকা করতে হবে। ।
সকল আশা কর্মীদের সরকারি স্বীকৃতি দিতে হবে এবং সুযোগ-সুবিধে দিতে হবে।
আরো বেশ কয়েকটি দাবী নিয়ে তাদের আজ এই অভিযান,,,,
পথ অবরোধ থাকায়, এবং কোনরকম প্রশাসনের কথা না শোনায় বা দুই নবান্ন থেকে ফোন আসে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বাইরে থাকায় তাদেরকে পাঁচ দিন সময় দিয়েছেন। এই নিয়ে আলোচনা করার জন্য তারপর তারা প্রশাসনের কথা মেনে ওখান থেকে মিছিল আস্তে আস্তে রাণী রাসমনির কাছে নিয়ে যান এবং যারা নবান্নে ও স্বাস্থ্য দপ্তরে ডেপুটেশন দিতে গিয়েছেন তাদের জন্য সকল আশা কর্মী মহিলারা অপেক্ষা করলেন।
আশা কর্মীর মহিলারা জানালেন সাংবাদিক বন্ধুদের, আমরা এত বছর ধরে কাজ করছি আমাদের আজও সাড়ে চার হাজার টাকা মাইনে সরকার কাজের উপর কাজ চাপিয়ে যাচ্ছে কিন্তু আমাদের মাইনে বাড়ানোর কোন ব্যবস্থা করলেন না, এমনকি কোন সুযোগ সুবিধা আজও পর্যন্ত দেননি, তাই আমরা বাধ্য হয়েছি এই পথ নিতে।