রোকুনুজ্জামান খানঃ
গাজীপুর সদর উপজেলায় সৃজনশীল স্কুল এন্ড কলেজের এম.ডি ও প্রধান শিক্ষক, সহকারী শিক্ষিকা কে জোর পূর্বক ধর্ষন করে তার ভিডিও ধারণ করে। পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে প্রতিষ্ঠানের এম.ডি ও প্রধান শিক্ষক সাদেকুল ইসলাম সেলিম।
এ ঘটনায় ভিকটিম বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে জয়দেবপুর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন ( মামলা নং ১), আসামী হলেন ময়মনসিংহের ভালুকা থানার ডাকাতিয়া গ্রামের শামছুল হকের ছেলে সাদেকুল ইসলাম সেলিম ( ৪০ ),। বর্তমান সদর উপজেলার ভাওয়াল মির্জাপুর ইউনিয়নের সৃজনশীল স্কুল এন্ড কলেজের প্রতিষ্ঠানতা এম.ডি ও প্রধান শিক্ষক।
মামলা সূত্রে জানা যায়, সরদ উপজেলার ভাওয়াল মির্জাপুর দক্ষিণ পাড়া এলাকায় গত ৬ মাস যাবত ভিকটিম সৃজনশীল স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী শিক্ষিকা হিসাবে কর্মরত আছেন। বিবাদীর অফিস এবং ভিকটিমের কর্মস্থল একই রুম হওয়ার সুবাধে প্রায় সময়ই উত্যক্ত এবং কু-প্রস্তাব দিয়া আসিতে থাকে। বিবাদীর প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় গত ২৭/০৬/২১ তারিখ বেলা ৩ টার সময় শিক্ষকরা স্কুল হইতে চলিয়া যাওয়ার পর বাদীর কর্মস্থলে সৃজনশীল স্কুল এন্ড কলেজ এর অফিস রুম শিক্ষার্থীদের এসাইনমেন্ট তৈরী করা অবস্থায়
বিবাদী পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে অফিস কক্ষের দরজা বন্ধ করে জোর পূর্বক ধর্ষন করে, এবং ধর্ষনের ভিডিও গোপনে ধারণ করে।
পরবর্তীতে গত ১২/০৭/২১ তারিখ কর্মস্থল সৃজনশীল স্কুল এন্ড কলেজের অফিস রুম থাকা অবস্থায় বিবাদীর এসে বলে তার কথায় রাজি না হলে ইতিপূর্বের ধর্ষনের ভিডিও ইটারনেটে ভাইরাল করে দেওয়ার ভয় ভীতি দেখিয়ে পূণরায় জোর পূর্বক একাধিকবার ধর্ষণ করে।
এরপর হইতে বিবাদীর অবৈধ শারিরীক সম্পর্ক অব্যাহত রাখার জন্য ভিকটিম কে ধর্ষনের ভিডিও ইটারনেটে ভাইরাল সহ বিভিন্ন রকম ভয় ভীতি ও হুমকি অব্যাহত রাখে। এই ঘটনায় ভিকটিম বাদী হয়ে জয়দেবপুর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাতাব উদ্দিন জানান, এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি ধর্ষণ মামলা হয়েছে। আসামী বর্তমানে পলাতক রয়েছে, তাকে ধরার জন্য আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।