এস এম খলিলুর রহমান খুলনা বিভাগীয় ব্যুরো চীফঃ
২৩ আগস্ট ২০২১ সোমবার আনুমানিক সন্ধ্যা ৭ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত, যশোরের বেনাপোল স্থল বন্দরে রপ্তানি বাহী মাছের ৩ টি ট্রাক তল্লাশী নিয়ে বিজিবি-কাস্টমস মুখোমুখি অবস্থানে। এ ঘটনায় বেনাপোল বন্দরে ২ ঘন্টা রপ্তানি বানিজ্য বন্ধ ছিল। তবে এ সময় স্বাভাবিক ছিল আমদানি বাণিজ্য।
কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ থেকে ভারতে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ধরনের সাদা বা দেশি মাছ রফতানি হয়ে থাকে। বাংলাদেশ রফতানি-কারক প্রতিষ্ঠান খুলনা সাউদার্ন সি ফুড লিমিটেড নামক প্রতিষ্ঠান সোমবার সন্ধ্যায় ভারতে রফতানির উদ্দ্যেশে ৩ টি পিক-আপে ৭ (টন) ৫০০ (কেজি) বিভিন্ন জাতের পাবদা টেংরা তেলাপিয়া মাছ নিয়ে বেনাপোল বন্দরে আসে। কাষ্টমস থেকে ছাড়পত্র নিয়ে ট্রাক নোম্যান্স ল্যান্ড এলাকায় পৌঁছালে বিজিবি সদস্যরা ট্রাক গতিরোধ করে। পরে সাদা মাছের নামে মিথ্যা ঘোষনায় ইলিশ পাচার হচ্ছে অভিযোগ তোলেন বিজিবি সদস্যরা। পরে ট্রাক গুলো বিজিবি সদস্যরা ক্যাম্পে নিতে চাইলে বাধা দেন কাস্টমস কর্মকর্তারা। এ সময় বিজিবি-কাস্টমস সদস্যরা বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে।
বেনাপোল বন্দরের সহকারী পরিচালক আতিকুল ইসলাম আমাদের এ প্রতিনিধিকে জানান, উত্তেজনাকর পরিস্থিতির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে বন্দরের কর্মকর্তারা উপস্থিত হয়। কাষ্টমসের ছিলেন, যুগ্ম কমিশনার নুসরাত জাহান, ডেপুটি কমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান, বেল্লাল হোসেন, অনুপম চাকমা, শুল্ক গোয়েন্দার সহকারী পরিচালক মাসুদুর ররহমানসহ অন্যান্য কর্মকর্তা। এক পর্যায়ে সমঝতা হয়ে ২ পক্ষের উপস্থিতিতে নোম্যান্স ল্যান্ডে ট্রাকে থাকা মাছের সকল কাটন তল্লাশি করা হয়। তবে শেষ পর্যন্ত কোন ট্রাকে অবৈধ পণ্য বা ইলিশ পাওয়া যায় না।
পরবর্তীতে খুলনা বিজিবি’র সেক্টর কমান্ডার কর্নেল গোলাম মহিউদ্দিন খন্দকার জানান, গোঁপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন, রফতানির সাদা মাছের সাথে ইলিশ মাছ ভারতে পাচার হচ্ছে। এমন ঘটনার কারনে বিজিবি মাছের চালানটি পরীক্ষার জন্য বিজিবি ক্যাম্পে নিয়ে যেতে চান।