রিপোর্টার,,,, শম্পা দাস ও সমরেশ রায়,,, কলকাতা:
আজ ২রা নভেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুর তিনটে, দক্ষিণ কলকাতা জেলা বিজেপির উদ্যোগে, টালিগঞ্জ ফাঁড়ি থেকে হাজরা পর্যন্ত এক বিক্ষোভ মিছিল, উপস্থিত ছিলেন একাধিক রাজ্য জেলা নেতৃত্বরা,,,,, বিক্ষোভের মূল বিষয় ছিল ,,,,চোর ধরো, জেল ভরো।
সারা রাজ্য জুড়ে তৃণমূলের রেশন দুর্নীতি এবং জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের পদত্যাগ দাবি নিয়ে এই বিক্রম মিছিল। শুধু তাই নয় শিক্ষক দুর্নীতির অভিযোগ ও তুলে ধরেন এই বিক্ষোভ পার্থ চ্যাটার্জীর নাম পুনরায় তারা তুলে আনেন।, তারা জানান সারা রাজ্যে শিক্ষায় দুর্নীতির পর, গরিবদের চাল ও গম মেরে রেশনে দুর্নীতি, কেউ ছাড়া পাবে না, একে একেই জেলে ভরবো,
এবং তারা বলেন পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল সরকারের লাগামহীন দুর্নীতি এবং কুখ্যাত দুষ্কৃতী ও দুর্নীতিবাজ জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এর মন্ত্রিসভা থেকে বহিষ্কার ও শাস্তির দাবিতে জেলায় জেলায় আমরা বিক্ষোভ দেখাবো।
মিছিল শুরু আর সাথে সাথেই শুরু হয়ে যায় পুলিশের সাথে বিজেপি কর্মীদের ধস্তাধস্তি এবং গন্ডগোল,, কোনোভাবেই তারা র্যালি করতে দেবেন না, মালে সমস্ত মহিলা কর্মীরা রাস্তা অবরোধ করে বসে পড়েন, কিছুক্ষণ পুলিশের সাথে গন্ডগোল হলে এবং জোর জুলুম করলে বাধ্য হয় পুলিশ র্যালি শুরু করাতে ,হাজরা মিছিল নিয়ে যেতে দেবেন না। শুধু তাই নয় ,তারা অটো নিয়ে কোনভাবেই র্যালি করতে দেবেন না ,এই নিয়েই চলে প্রচন্ড গন্ডগোল এবং পুলিশের সাথে হাতাহাতি পর্যন্ত ,থাকতে থাকতে মাঝপথে র্যালি ভঙ্গ করতে তারা সেই অটো নিয়েই ঝামেলা শুরু করেন, কিন্তু পিছুপা হননি বিজেপি কর্মীরা, তারা বলেন দেখব কিভাবে রুখতে পারে, এবং পুলিশ অফিসারদের চোর অপবাদ দেন, ঘুষখোর বলে স্লোগান দেন, প্রকাশ্যে অফিসারদের তৃণমূলের ঘুষখোর বলে সারা র্যালিতে স্লোগান দেন,
এরপর র্যালি যখন রাজবিহারীর মুখে পৌঁছয়, পুলিশ অফিসারেরা প্রথমে বিজেপির রাজ্য সভাপতি কাজে জানতে চাই কিন্তু সমস্ত কিছু বলার পরেও ,পুলিশের তরফ থেকে প্রচুর ফোর্স নিয়ে এসে, তাদেরকে জোর করে অ্যারেস্ট করে, এবং ভ্যানে ভরে নিয়ে যায় লালবাজারে উদ্দেশ্যে, তারা ভ্যানের মধ্য থেকে জয় শ্রী রাম জয় ধ্বনি দিতে থাকে। এবং পুলিশ অফিসারদের বিভিন্নভাবে আক্রমণ করতে থাকে।।
