
নওগাঁর মান্দায় প্রতিনিধি :
নওগাঁর মান্দায় দীর্ঘদিন ধরে ১১ নং কালিকাপুর ইউনিয়নের ১২১ নং বড়মুল্লুক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা গরমে নাজেহাল হয়ে পড়ছিল। শ্রেণিকক্ষে ফ্যানের অভাবে ছোট শিশুদের পড়াশোনা যেন কষ্টসাধ্য হয়ে উঠেছিল।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আক্কাস উদ্দিন বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন বহুদিন। শেষ পর্যন্ত তিনি কানাডা প্রবাসী বিশিষ্ট শিল্পপতি ও নওগাঁ-৪ আসনের বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী সাদিকুল ইসলাম সোহাগের কাছে শিক্ষার্থীদের দুঃখ-কষ্টের কথা তুলে ধরেন।
মানবিক আবেদনে সাড়া দিয়ে সোহাগ ভাই এগিয়ে এলেন। আজ তাঁর পক্ষ থেকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষকদের হাতে ফ্যান তুলে দেওয়া হলো। এই সামান্য সহযোগিতাই যেন শিশুদের জন্য এক বিশাল উপহার হয়ে দাঁড়াল।
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মুখে খুশির ঝলক স্পষ্ট—
“এবার আর গরমে কষ্ট হবে না, মন দিয়ে পড়াশোনা করতে পারব”— বলছে এক শিক্ষার্থী।
শিক্ষকরা মনে করেন, এই উদ্যোগ শুধু একটি ফ্যান দেওয়া নয়, বরং শিশুদের প্রতি দায়িত্ববোধ ও মমত্ববোধের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
শিল্পপতি মোঃ সাদিকুল ইসলাম সোহাগ বলেন
“প্রবাসে থেকেও আমি সবসময় আমার এলাকার মানুষদের কথা ভাবি। বড়মুল্লুক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা যেন স্বস্তিতে পড়াশোনা করতে পারে—এটা আমার ছোট্ট প্রয়াস মাত্র। শিক্ষা হলো জাতির মেরুদণ্ড, আর সেই শিক্ষার পরিবেশ উন্নত করা আমাদের সবার দায়িত্ব। আমি সবসময় চেষ্টা করব, সুযোগ পেলেই শিক্ষা ও উন্নয়নের কাজে পাশে থাকার।”
তিনি আরো বলেন আমি বিএনপির একজন কর্মী হিসেবে সবসময় জনগণের পাশে থেকে কাজ করার চেষ্টা করেছি। আমার একটাই লক্ষ্য—এলাকার মানুষের কল্যাণে নিবেদিত থাকা। মনোনয়ন পাওয়া না পাওয়া বড় বিষয় নয়, মানুষের ভালোবাসা আর আস্থা অর্জন করাই সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। যদি দল আমাকে নওগাঁ-৪ আসনে মনোনয়ন দেয়, তাহলে আমি এই জনপদের প্রতিটি মানুষকে সঙ্গে নিয়ে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, উন্নয়ন ও মানবিক সেবার মাধ্যমে এলাকার পরিবর্তন ঘটাতে চাই। আর যদি না-ও পাই, তবুও মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাব।